বাহিনীর পরিচিতি
১। সাধারণ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ভিত্তিক সুশৃঙ্খল বাহিনী। এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৮ সালে প্রণীত আনসার অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে। ১৯৭৬ সালে এ বাহিনী পূর্নগঠিত হয়। তখন ব্যাটালিয়ন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠন করা হয়। পরবর্তীতে শহর প্রতিরক্ষা দল ও মহিলা আনসার গঠিত হয়। বর্তমানে এ বিশাল বাহিনীর ০৩ টি মূল অংশ রয়েছে।
ক. আনসার বাহিনী, খ. ব্যাটালিয়ন আনসার, গ. গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি)।
ক. আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠা হয়-১২ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮ খ্রিঃ, খ. ব্যাটালিয়ন আনসার প্রতিষ্ঠা হয়- ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ খ্রিঃ, গ. গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি) প্রতিষ্ঠা হয়-৫ জানুয়ারি ১৯৭৬ খ্রিঃ
২। বর্তমান সাংগঠনিক বিস্তৃতি
বর্তমানে সারাদেশে ২টি মহিলা আনসার ব্যাটালিয়নসহ মোট ৩৯টি আনসার ব্যাটালিয়ন ও প্রায় ৩ লক্ষ প্রশিক্ষিত সাধারণ আনসার রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ১১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী আনসারদের একটি কোম্পানী এবং প্রতি ইউনিয়নে ৩২ জন আনসারের একটি প্লাটুন রয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন/ওয়ার্ড ০১জন দলনেতা ও ০১ জন দলনেত্রী এবং প্রতিটি গ্রামে ০১ টি পুরুষ ভিডিপি প্লাটুন (৩২জন) এবং মহিলা ভিডিপি প্লাটুন (৩২জন) রয়েছে। সামগ্রিকভাবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বমোট সদস্য-সদস্যা বর্তমানে প্রায় ৬১ লক্ষ।
৩। আইনগত ভিত্তি
বাহিনীর এ ৩টি অংশ বর্তমানে ৩ টি পৃথক আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আইনসমূহ যথাক্রমে: ক. আনসার বাহিনী আইন-১৯৯৫,। খ. ব্যাটালিয়ন আনসার আইন-১৯৯৫। গ. গ্রাম প্রতিরক্ষা দল(ভিডিপি) আইন-১৯৯৫। আনসার বাহিনী ও ব্যাটালিয়ন আনসার-কে আইনগত ভাবে “শৃঙ্খলা বাহিনী” হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস